কাঠবাদাম কমবেশি সবার কাছেই পরিচিতি।
কাঠবাদাম অনেক উপকারী একটি খাদ্য। কাঠবাদামের গুণাগুণ সম্পর্কে ধারণা না
থাকায় অনেকেই আমরা একে এড়িয়ে যাই। কাঠ বাদামের উপকারিতা সীমাহীন।
কাঠবাদামের আঁশ ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ এবং ফাইটো-ক্যামিক্যালসে ভরপুর।
বিভিন্ন রোগ এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি একটি আদর্শ খাদ্য।

খাদ্যনিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে যারা ওজন
কমাতে চান, কাঠবাদাম তাদের জন্য আদর্শ। রাতের কার্বোহাইডেট (শ্বেতসার)
জাতীয় খাবার গহন কমিয়ে একমুঠো কাঠবাদাম বা কাঠাবাদাম-আখ্রোট মিশ্রন ওজন
কমাতে এবং কোলেষ্টেরল কমাতে দারুন সাহায্য করবে। সকালে এবং রাতে কাঠবাদাম
খাদ্য হিসাবে গ্রহন স্থুলত্ব কমাতে সাহায্য করে। কাঠবাদামের নির্যাসিত তেল
ত্বকে পুষ্টি যোগায় এবং জলীয় ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন একমুঠো
কাঠবাদাম কিংবা কাঠবাদাম সমৃদ্ধ খাদ্য আপনাকে অনেক রোগ এবং ঔষধ থেকে দূরে
রাখতে পারে এবং দৈনিক চাহিদার প্রয়োজনীয় খনিজ, ভিটামিন এবং প্রোটিনের
জোগান দিতে পারে। কাঠবাদাম এয়ারটাইট পাত্রে সংরক্ষন করতে হবে। কাঠবাদাম বা
আলমন্ড কাঁচা, ভাজা বা লবন দিয়েও খেতে পারেন। চীনা বাদামের মতো, আলমন্ডেও
অনেকের এলার্জী থাকতে পারে, বাদামে এলার্জী থাকলে না খাওয়াই উত্তম।
সম্প্রতি ইতালির একদল বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, দৈনিক মাত্র ৭টি কাঠবাদাম খেলে
পুরুষদের শুক্রাণুর পরিমাণ এবং গুণগতমান উভয়ই বাড়বে। তুরিনের এক হাসপাতালে
১০০ জনের ওপর এ জরিপ চালানো হয়। জরিপে প্রমাণিত হয় দৈনিক মাত্র ৭টি
কাঠবাদামে বা যে কোনো বাদাম পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা নিশ্চিতভাবে বাড়বে।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রথমে দুটি দলে ভাগ করা হয়। এরপর একদলের দৈনিক
খাদ্য তালিকায় ৭টি বাদাম যুক্ত করা হয় এবং অন্যদলকে বেশি করে সামুদ্রিক
মাছ এবং শস্যজাতীয় খাদ্য দেয়া হয়।
দ্বিতীয় দলের খাদ্য তালিকা থেকে
প্রক্রিয়াকরণ মাংস ও অন্য খাদ্য বাদ দেয়া হয়। তবে প্রথম দলের স্বাভাবিক
খাদ্য তালিকা চালু থাকে। নির্দিষ্ট সময় পর দেখা যায়, দ্বিতীয় দলের তুলনায়
প্রথম দলের প্রজনন ক্ষমতা অনেকগুণ বেড়েছে।
Tags
Health