আদর্শ যুবকের কতিপয় বৈশিষ্ট্য
যুবকরা যেকোন কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। বয়স্ক লোকদের নিকট যে কাজটা কঠিন, সে কাজটা যুবকদের নিকট সহজ। যুবকদের মূল্যবান সময়টা বিভিন্ন খারাপ কাজে অতিবাহিত না করে, কল্যাণকর কাজে অতিবাহিত করতে হবে। যাতে করে ক্বিয়ামতের কঠিন দিনে জওয়াব দেওয়া সহজ হয়। কতিপয় গুণাবলী অর্জন করতে পারলে ইহকালে শান্তি মিলবে এবং পরকালেও পাওয়া যাবে নাজাত। আর এই গুণাবলী সম্পন্ন যুবককে আদর্শ যুবক বলে অভিহিত করা যায়। নিম্নে আদর্শ যুবকের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গুণ সম্পর্কে আলোচনা পেশ করা হ’ল।-
✔ আল্লাহকে ভয় করা :
আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন,
يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوْا رَبَّكُمْ إِنَّ زَلْزَلَةَ السَّاعَةِ شَيْءٌ عَظِيْمٌ، يَوْمَ تَرَوْنَهَا تَذْهَلُ كُلُّ مُرْضِعَةٍ عَمَّا أَرْضَعَتْ وَتَضَعُ كُلُّ ذَاتِ حَمْلٍ حَمْلَهَا وَتَرَى النَّاسَ سُكَارَى وَمَا هُمْ بِسُكَارَى وَلَكِنَّ عَذَابَ اللهِ شَدِيْدٌ. ‘হে মানব মন্ডলী! তোমরা ভয় কর তোমাদের প্রতিপালককে। নিঃসন্দেহে ক্বিয়ামতের প্রকম্পন এক ভয়ানক ব্যাপার। যেদিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবে, সেইদিন প্রত্যেক স্তন্যদাত্রী বিস্মৃত হবে তার দুগ্ধপোষ্য শিশুকে এবং প্রত্যেক গর্ভবতী তার গর্ভপাত করে ফেলবে। মানুষকে দেখবে মাতাল সদৃশ, যদিও তারা নেশাগ্রস্ত নয়। বস্ত্ততঃ আল্লাহর শাস্তি কঠিন’ (হজ্জ ২২/১-২)।
আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা প্রকৃত ভীতি সহকারে আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমরা মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না’ (আলে ইমরান ৩/১০২)। অন্যত্র তিনি আরো বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। প্রত্যেকেই ভেবে দেখুক যে, আগামীকালের জন্য সে কি অগ্রিম পাঠিয়েছে। আর আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে অবহিত’ (হাশর ৫৯/১৮)।
আবু হুরায়রাহ রা: হ’তে বর্ণিত নবী করীম (ﷺ) বলেছেন, ‘সাত প্রকারের লোককে আল্লাহ নিজের ছায়ায় আশ্রয় দিবেন, যে দিন তাঁর ছায়া ছাড়া অন্য কোন ছায়া থাকবে না। সেই সাত প্রকারের লোক হচ্ছে-
(১) ন্যায়পরায়ণ শাসক।
(২) যে যুবক তার প্রভুর ইবাদতে যৌবন কাটিয়েছে।
(৩) যে ব্যক্তির মন মসজিদের সাথে বাঁধা।
(৪) যে দুই লোক আল্লাহরই উদ্দেশ্যে একে অপরকে ভালবাসে। তারা আল্লাহর উদ্দেশ্যেই মিলিত হয়, আবার আল্লাহর উদ্দেশ্যেই বিচ্ছিন্ন হয়।
(৫) যে ব্যক্তি অভিজাত ঘরের রূপসী নারীর আহবানকে এই বলে প্রত্যাখ্যান করে যে, আমি আল্লাহকে ভয় করি।
(৬) যে ব্যক্তি এমন গোপনে দান করে যে, তার ডান হাত কি খরচ করে তার বাম হাত তা জানতে পারে না।
(৭) যে ব্যক্তি নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তার চক্ষুদ্বয় থেকে অশ্রুধারা বইতে থাকে’
বুখারী, হা/৬০২৯।
✔ পরকালের জন্য প্রস্ত্ততি :
মৃত্যুর পরেই মানুষের পরকালীন জীবনের হিসাব-নিকাশ শুরু হয়ে যায়। আর প্রত্যেক আত্মাকে মরতেই হবে। আল্লাহ বলেন, كُلُّ نَفْسٍ ذَآئِقَةُ الْمَوْتِ ‘প্রত্যেক আত্মাকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে’(আলে ইমরান ১৮৫)। মরণের সময় মানুষের কৃতকর্মই তার সাথী হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَجَاءَتْ كُلُّ نَفْسٍ مَّعَهَا سَائِقٌ وَّشَهِيْدٌ ‘প্রত্যেক ব্যক্তি আগমন করবে, তার সাথে থাকবে চালক ও কর্মের সাক্ষী’ (কাফ ৫০/২১)। যে শয়তানের প্ররোচনায় মানুষ দুনিয়াতে পাপাচার করে, সে আল্লাহর কাছে নিজেকে নির্দোষ দাবী করে বলবে, আমি তাকে পাপ কাজে লিপ্ত করিনি; বরং সে নিজেই পাপ করেছে।আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, قَالَ قَرِيْنُهُ رَبَّنَا مَا أَطْغَيْتُهُ وَلَكِنْ كَانَ فِيْ ضَلاَلٍ بَعِيْدٍ ‘তার সঙ্গী শয়তান বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমি তাকে অবাধ্যতায় লিপ্ত করিনি। বস্ত্ততঃ সে নিজেই ছিল সুদূর পথভ্রান্তিতে লিপ্ত’ (কাফ ৫০/২৭)।
পরকালে প্রত্যেকে স্বীয় কর্ম দেখতে পাবে। আল্লাহ বলেন, ‘অতএব কেউ অণুপরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবে এবং কেউ অণুপরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে’ (যিলযাল ৯৯/৭-৮)।ইহকাল
মুস্তাওরিদ বিন শাদ্দাদ রা: বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহর কসম! আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার উদাহরণ হ’ল, যেমন তোমাদের কেউ মহাসাগরের মধ্যে নিজের একটি আঙ্গুল ডুবিয়ে দেয়, অতঃপর সে লক্ষ্য করে দেখুক তা কি (পরিমাণ পানি) নিয়ে আসল’।[মুসলিম, মিশকাত হা/৫১৫৬।
✔ ব্যাভিচার থেকে বেঁচে থাকা :
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَلاَ تَقْرَبُواْ الزِّنَى إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَّسَاءَ سَبِيْلاً ‘তোমরা যেনার নিকটবর্তীও হয়ো না। এটা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট পথ’ (ইসরা ১৭/৩২)।
✔ গিঁটের নিচে কাপড় পরিধান না করা :
আবু হুরায়রাহ রা: আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে পরবে সে জাহান্নামী’।[বু
খারী, মিশকাত হা/৪৩১৪।]
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, لاَ يَنْظُرُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلَى مَنْ جَرَّ إِزَارَهُ بَطَرًا ‘আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন সেই ব্যক্তির প্রতি করুণার দৃষ্টি দিবেন না, যে অহংকার বশতঃ কাপড় ঝুলিয়ে পরে’।[বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৩১১।]
✔ গান-বাজনা ও বাদ্যযন্ত্র পরিহার করা :
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَّشْتَرِيْ لَهْوَ الْحَدِيْثِ لِيُضِلَّ عَن سَبِيْلِ اللهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَّيَتَّخِذَهَا هُزُواً أُوْلَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِيْنٌ
‘এক শ্রেণীর লোক আছে, যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে ভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে অন্ধভাবে গান-বাজনা ও বাদ্যযন্ত্র সংগ্রহ করে এবং তা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে, এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি’(লোকমান ৩১/৬)।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘অবশ্যই আমার পরে এমন কিছু লোক আসবে যারা যেনা, রেশম, নেশাদার দ্রব্য ও গান বাজনাকে হালাল মনে করবে’।[বুখারী ৮৩৭ পৃঃ।]
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
إِنَّ اللهَ تَعَالَى حَرَّمَ الْخَمْرَ وَالْمَيْسِرَ وَالْكُوْبَةَ وَقَالَ كُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ. قِيْلَ الْكُوبَةُ الطَّبْلُ.
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা মদ, জুয়া ও সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র হারাম করেছেন’।[মিশকাত হা/৪৫০৩।]
✔ নেশাদার দ্রব্য পরিহার :
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُواْ إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالأَنصَابُ وَالأَزْلاَمُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوْهُ
لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ ‘হে মুমিনগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং
ভাগ্য নির্ধারক শরসমূহ শয়তানের কাজ। অতএব তোমরা এগুলি থেকে বেঁচে থাক।
যাতে তোমরা কল্যাণ প্রাপ্ত হও’ (মায়েদাহ ৫/৯০)।
আনাস রা: বলেন, নবী করীম (ﷺ) বলেছেন, ‘যখন আমার উম্মত নেশাদার দ্রব্য পান করবে, গায়িকাদের নিয়ে নাচ-গানে মত্ত হবে এবং বাদ্যযন্ত্র নিয়ে ব্যস্ত হবে, তখন অবশ্যই তিনটি ভয়াবহ
বিপদ নেমে আসবে- (১) বিভিন্ন এলাকার ভূমি ধসে যাবে (২) উপর থেকে অথবা কোন জাতির পক্ষ থেকে যুলুম অত্যাচার চাপিয়ে দেওয়া হবে (৩) অনেকের পাপের দরুণ আকার-আকৃতি বিকৃত করা হবে।[সিলসিলা ছহীহা হা/১৬০৪।]
যুবকরা যেকোন কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। বয়স্ক লোকদের নিকট যে কাজটা কঠিন, সে কাজটা যুবকদের নিকট সহজ। যুবকদের মূল্যবান সময়টা বিভিন্ন খারাপ কাজে অতিবাহিত না করে, কল্যাণকর কাজে অতিবাহিত করতে হবে। যাতে করে ক্বিয়ামতের কঠিন দিনে জওয়াব দেওয়া সহজ হয়। কতিপয় গুণাবলী অর্জন করতে পারলে ইহকালে শান্তি মিলবে এবং পরকালেও পাওয়া যাবে নাজাত। আর এই গুণাবলী সম্পন্ন যুবককে আদর্শ যুবক বলে অভিহিত করা যায়। নিম্নে আদর্শ যুবকের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গুণ সম্পর্কে আলোচনা পেশ করা হ’ল।-
✔ আল্লাহকে ভয় করা :
আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন,
يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوْا رَبَّكُمْ إِنَّ زَلْزَلَةَ السَّاعَةِ شَيْءٌ عَظِيْمٌ، يَوْمَ تَرَوْنَهَا تَذْهَلُ كُلُّ مُرْضِعَةٍ عَمَّا أَرْضَعَتْ وَتَضَعُ كُلُّ ذَاتِ حَمْلٍ حَمْلَهَا وَتَرَى النَّاسَ سُكَارَى وَمَا هُمْ بِسُكَارَى وَلَكِنَّ عَذَابَ اللهِ شَدِيْدٌ. ‘হে মানব মন্ডলী! তোমরা ভয় কর তোমাদের প্রতিপালককে। নিঃসন্দেহে ক্বিয়ামতের প্রকম্পন এক ভয়ানক ব্যাপার। যেদিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবে, সেইদিন প্রত্যেক স্তন্যদাত্রী বিস্মৃত হবে তার দুগ্ধপোষ্য শিশুকে এবং প্রত্যেক গর্ভবতী তার গর্ভপাত করে ফেলবে। মানুষকে দেখবে মাতাল সদৃশ, যদিও তারা নেশাগ্রস্ত নয়। বস্ত্ততঃ আল্লাহর শাস্তি কঠিন’ (হজ্জ ২২/১-২)।
আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা প্রকৃত ভীতি সহকারে আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমরা মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না’ (আলে ইমরান ৩/১০২)। অন্যত্র তিনি আরো বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। প্রত্যেকেই ভেবে দেখুক যে, আগামীকালের জন্য সে কি অগ্রিম পাঠিয়েছে। আর আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে অবহিত’ (হাশর ৫৯/১৮)।
আবু হুরায়রাহ রা: হ’তে বর্ণিত নবী করীম (ﷺ) বলেছেন, ‘সাত প্রকারের লোককে আল্লাহ নিজের ছায়ায় আশ্রয় দিবেন, যে দিন তাঁর ছায়া ছাড়া অন্য কোন ছায়া থাকবে না। সেই সাত প্রকারের লোক হচ্ছে-
(১) ন্যায়পরায়ণ শাসক।
(২) যে যুবক তার প্রভুর ইবাদতে যৌবন কাটিয়েছে।
(৩) যে ব্যক্তির মন মসজিদের সাথে বাঁধা।
(৪) যে দুই লোক আল্লাহরই উদ্দেশ্যে একে অপরকে ভালবাসে। তারা আল্লাহর উদ্দেশ্যেই মিলিত হয়, আবার আল্লাহর উদ্দেশ্যেই বিচ্ছিন্ন হয়।
(৫) যে ব্যক্তি অভিজাত ঘরের রূপসী নারীর আহবানকে এই বলে প্রত্যাখ্যান করে যে, আমি আল্লাহকে ভয় করি।
(৬) যে ব্যক্তি এমন গোপনে দান করে যে, তার ডান হাত কি খরচ করে তার বাম হাত তা জানতে পারে না।
(৭) যে ব্যক্তি নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তার চক্ষুদ্বয় থেকে অশ্রুধারা বইতে থাকে’
বুখারী, হা/৬০২৯।
✔ পরকালের জন্য প্রস্ত্ততি :
মৃত্যুর পরেই মানুষের পরকালীন জীবনের হিসাব-নিকাশ শুরু হয়ে যায়। আর প্রত্যেক আত্মাকে মরতেই হবে। আল্লাহ বলেন, كُلُّ نَفْسٍ ذَآئِقَةُ الْمَوْتِ ‘প্রত্যেক আত্মাকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে’(আলে ইমরান ১৮৫)। মরণের সময় মানুষের কৃতকর্মই তার সাথী হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَجَاءَتْ كُلُّ نَفْسٍ مَّعَهَا سَائِقٌ وَّشَهِيْدٌ ‘প্রত্যেক ব্যক্তি আগমন করবে, তার সাথে থাকবে চালক ও কর্মের সাক্ষী’ (কাফ ৫০/২১)। যে শয়তানের প্ররোচনায় মানুষ দুনিয়াতে পাপাচার করে, সে আল্লাহর কাছে নিজেকে নির্দোষ দাবী করে বলবে, আমি তাকে পাপ কাজে লিপ্ত করিনি; বরং সে নিজেই পাপ করেছে।আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, قَالَ قَرِيْنُهُ رَبَّنَا مَا أَطْغَيْتُهُ وَلَكِنْ كَانَ فِيْ ضَلاَلٍ بَعِيْدٍ ‘তার সঙ্গী শয়তান বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমি তাকে অবাধ্যতায় লিপ্ত করিনি। বস্ত্ততঃ সে নিজেই ছিল সুদূর পথভ্রান্তিতে লিপ্ত’ (কাফ ৫০/২৭)।
পরকালে প্রত্যেকে স্বীয় কর্ম দেখতে পাবে। আল্লাহ বলেন, ‘অতএব কেউ অণুপরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবে এবং কেউ অণুপরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে’ (যিলযাল ৯৯/৭-৮)।ইহকাল
মুস্তাওরিদ বিন শাদ্দাদ রা: বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহর কসম! আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার উদাহরণ হ’ল, যেমন তোমাদের কেউ মহাসাগরের মধ্যে নিজের একটি আঙ্গুল ডুবিয়ে দেয়, অতঃপর সে লক্ষ্য করে দেখুক তা কি (পরিমাণ পানি) নিয়ে আসল’।[মুসলিম, মিশকাত হা/৫১৫৬।
✔ ব্যাভিচার থেকে বেঁচে থাকা :
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَلاَ تَقْرَبُواْ الزِّنَى إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَّسَاءَ سَبِيْلاً ‘তোমরা যেনার নিকটবর্তীও হয়ো না। এটা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট পথ’ (ইসরা ১৭/৩২)।
✔ গিঁটের নিচে কাপড় পরিধান না করা :
আবু হুরায়রাহ রা: আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে পরবে সে জাহান্নামী’।[বু
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, لاَ يَنْظُرُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلَى مَنْ جَرَّ إِزَارَهُ بَطَرًا ‘আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন সেই ব্যক্তির প্রতি করুণার দৃষ্টি দিবেন না, যে অহংকার বশতঃ কাপড় ঝুলিয়ে পরে’।[বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৩১১।]
✔ গান-বাজনা ও বাদ্যযন্ত্র পরিহার করা :
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَّشْتَرِيْ لَهْوَ الْحَدِيْثِ لِيُضِلَّ عَن سَبِيْلِ اللهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَّيَتَّخِذَهَا
‘এক শ্রেণীর লোক আছে, যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে ভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে অন্ধভাবে গান-বাজনা ও বাদ্যযন্ত্র সংগ্রহ করে এবং তা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে, এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি’(লোকমান ৩১/৬)।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘অবশ্যই আমার পরে এমন কিছু লোক আসবে যারা যেনা, রেশম, নেশাদার দ্রব্য ও গান বাজনাকে হালাল মনে করবে’।[বুখারী ৮৩৭ পৃঃ।]
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
إِنَّ اللهَ تَعَالَى حَرَّمَ الْخَمْرَ وَالْمَيْسِرَ وَالْكُوْبَةَ وَقَالَ كُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ. قِيْلَ الْكُوبَةُ الطَّبْلُ.
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা মদ, জুয়া ও সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র হারাম করেছেন’।[মিশকাত
✔ নেশাদার দ্রব্য পরিহার :
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُواْ إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالأَنصَابُ وَالأَزْلاَمُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوْهُ
আনাস রা: বলেন, নবী করীম (ﷺ) বলেছেন, ‘যখন আমার উম্মত নেশাদার দ্রব্য পান করবে, গায়িকাদের নিয়ে নাচ-গানে মত্ত হবে এবং বাদ্যযন্ত্র নিয়ে ব্যস্ত হবে, তখন অবশ্যই তিনটি ভয়াবহ
বিপদ নেমে আসবে- (১) বিভিন্ন এলাকার ভূমি ধসে যাবে (২) উপর থেকে অথবা কোন জাতির পক্ষ থেকে যুলুম অত্যাচার চাপিয়ে দেওয়া হবে (৩) অনেকের পাপের দরুণ আকার-আকৃতি বিকৃত করা হবে।[সিলসিলা ছহীহা হা/১৬০৪।]
Tags
Story