ইমাম বাগাভী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস, ক্বাতাদাহ ও যুহরী থেকে বর্ণনা করেন যে, একদা দুজন লোক হযরত দাউদ আঃ এর নিকট একটি বিষয়ের মিমাংসার জন্য আসে ৷ তাদের একজন ছিল ছাগলপালের মালিক এবং অন্যজন ছিল শস্য ক্ষেতের মালিক ৷
শস্যক্ষেতের মালিক, ছাগলপালের মালিকের নিকট দাবী পেশ করল যে, তার ছাগলপাল রাত্রিকালে আমার ক্ষেতের উপর চড়াও হয়ে সম্পূর্ণ ফসল নষ্ট করেছে ৷ আমি এর প্রতিকার চাই ৷ সম্ভবত শস্যের মূল্য ও ছাগলের মুল্যের হিসাব করে সমান বিবেচনা করে দাউদ আঃ শস্যক্ষেতের মালিককে তার বিনষ্ট ফসলের মুল্য হিসাবে পুরা ছাগলপাল শস্যক্ষেতের মালিককে দিতে বলেন ৷
বাদী ও বিবাদী উভয়ে বাদশাহ দাউদ আঃ এর আদালত থেকে বের হয়ে আসার সময় দরজার মুখে দাউন আঃ এর পুত্র সুলায়মান আঃ এর সাথে দেখা হয় ৷ তিনি মোকদ্দমার রায় জিজ্ঞেস করলে তারা সব খুলে বললো ৷ তিনি পিতা দাউদ আঃ এর কাছে গিয়ে বললেন, আমি রায় দিলে তা ভিন্নরূপ হত এবং উভয়ের জন্য কল্যাণ কর হতো ৷
অতঃপর তিনি পিতার নির্দেশে বললেন, ছাগলপাল সাময়িক ভাবে শস্যক্ষেতের মালিককে দিয়ে দেওয়া হোক ৷ সে এগুলোর দুধ, পশম ইত্যাদি দ্বারা উপকার লাভ করুক ৷
আর ছাগল পালের মালিককে সাময়িক ভাবে শস্যক্ষেত্র দেয়া হোক ৷ সে তাতে শস্য উৎপাদ করুক ৷ অতঃপর শস্যক্ষেত্র যখন ছাগলপাল বিনষ্টের পূর্বের অবস্থায় পৌঁছাবে তখন তা তার মালিককে ফিরিয়ে দেয়া হবে এবং ছাগলপাল তার মালিককে ফিরিয়ে দেয়া হবে ৷ হযরত দাউদ আঃ রায়টিকে অধিক উত্তম গন্য করে সেটাকেই কার্যকর করার নির্দেশ দেন ৷
এই ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে আল্লাহ তাআলা বলেন,
"আর স্মরন করো দাউদ ও সুলায়মান কে যখন তারা একটি শস্যক্ষেত্র সম্পর্কে বিচার করছিল, যাতে রাত্রি কালে কারু মেষপাল ঢুকে পড়েছিল ৷ আর তাদের বিচার কার্য আমাদের সম্মুখেই হচ্ছিল ৷ অতঃপর আমরা সুলায়মান কে মোকাদ্দামাটির ফয়সালা বুঝিয়ে দিলাম এবং আমরা উভয়কেই প্রজ্ঞা ও জ্ঞান দান করেছিলাম ৷ (আম্বিয়া - ২১/৭৮-৭৯) ৷
শস্যক্ষেতের মালিক, ছাগলপালের মালিকের নিকট দাবী পেশ করল যে, তার ছাগলপাল রাত্রিকালে আমার ক্ষেতের উপর চড়াও হয়ে সম্পূর্ণ ফসল নষ্ট করেছে ৷ আমি এর প্রতিকার চাই ৷ সম্ভবত শস্যের মূল্য ও ছাগলের মুল্যের হিসাব করে সমান বিবেচনা করে দাউদ আঃ শস্যক্ষেতের মালিককে তার বিনষ্ট ফসলের মুল্য হিসাবে পুরা ছাগলপাল শস্যক্ষেতের মালিককে দিতে বলেন ৷
বাদী ও বিবাদী উভয়ে বাদশাহ দাউদ আঃ এর আদালত থেকে বের হয়ে আসার সময় দরজার মুখে দাউন আঃ এর পুত্র সুলায়মান আঃ এর সাথে দেখা হয় ৷ তিনি মোকদ্দমার রায় জিজ্ঞেস করলে তারা সব খুলে বললো ৷ তিনি পিতা দাউদ আঃ এর কাছে গিয়ে বললেন, আমি রায় দিলে তা ভিন্নরূপ হত এবং উভয়ের জন্য কল্যাণ কর হতো ৷
অতঃপর তিনি পিতার নির্দেশে বললেন, ছাগলপাল সাময়িক ভাবে শস্যক্ষেতের মালিককে দিয়ে দেওয়া হোক ৷ সে এগুলোর দুধ, পশম ইত্যাদি দ্বারা উপকার লাভ করুক ৷
আর ছাগল পালের মালিককে সাময়িক ভাবে শস্যক্ষেত্র দেয়া হোক ৷ সে তাতে শস্য উৎপাদ করুক ৷ অতঃপর শস্যক্ষেত্র যখন ছাগলপাল বিনষ্টের পূর্বের অবস্থায় পৌঁছাবে তখন তা তার মালিককে ফিরিয়ে দেয়া হবে এবং ছাগলপাল তার মালিককে ফিরিয়ে দেয়া হবে ৷ হযরত দাউদ আঃ রায়টিকে অধিক উত্তম গন্য করে সেটাকেই কার্যকর করার নির্দেশ দেন ৷
এই ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে আল্লাহ তাআলা বলেন,
"আর স্মরন করো দাউদ ও সুলায়মান কে যখন তারা একটি শস্যক্ষেত্র সম্পর্কে বিচার করছিল, যাতে রাত্রি কালে কারু মেষপাল ঢুকে পড়েছিল ৷ আর তাদের বিচার কার্য আমাদের সম্মুখেই হচ্ছিল ৷ অতঃপর আমরা সুলায়মান কে মোকাদ্দামাটির ফয়সালা বুঝিয়ে দিলাম এবং আমরা উভয়কেই প্রজ্ঞা ও জ্ঞান দান করেছিলাম ৷ (আম্বিয়া - ২১/৭৮-৭৯) ৷
Tags
Story