ঘুম একধরনের মৃত্যু, আমরা যত বড়ই বীর বাহাদুর হই না কেন আমাদের কোন না কোন সময়ই ঘুমের কাছে হার মানতে হয় যেমনি ভাবে হার মানতে হয় মৃত্যুর কাছে।
যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন,
আল্লাহ মানুষের প্রাণ হরণ করেন তার মৃত্যুর সময়, আর যে মরে না, তার নিদ্রাকালে। অতঃপর যার মৃত্যু অবধারিত করেন, তার প্রাণ ছাড়েন না এবং অন্যান্যদের ছেড়ে দেন এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। [ সুরা যুমার ৪২ ]
নিদ্রাকালে প্রত্যেক মানুষেরই রুহ নিয়ে নেয়া হয় মৃত্যুর মতই, মরণ এসে গেলে তাদের রুহ রেখে দেয়া হয় আর মৃত্যুর সময় না হলে ফিরিয়ে দেয়া হয় । তাই ঘুম বা প্রি মৃত্যুর পূর্বেই আমাদের সেই দিনের কথা স্মরণ করা উচিত যেদিন আমাদের কর্মফলের হিসাব নেয়া হবে এবং যে দিন কেউ কারো উপকারে আসবে না ।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
- যখন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে-একটি মাত্র ফুৎকার,
- এবং পৃথিবী ও পর্বতমালা উত্তোলিত হবে ও চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দেয়া হবে,
- সেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে।
- সেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে ও বিক্ষিপ্ত হবে।
- এবং ফেরেশতাগণ আকাশের প্রান্তদেশে থাকবে ও আট জন ফেরেশতা আপনার পালনকর্তার আরশকে তাদের উর্ধ্বে বহন করবে।
- সেদিন তোমাদেরকে উপস্থিত করা হবে। তোমাদের কোন কিছু গোপন থাকবে না।
- অতঃপর যার আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে, সে বলবেঃ নাও, তোমরাও আমলনামা পড়ে দেখ।
- আমি জানতাম যে, আমাকে হিসাবের সম্মুখীন হতে হবে।
- অতঃপর সে সুখী জীবন-যাপন করবে,
- সুউচ্চ জান্নাতে।
- তার ফলসমূহ অবনমিত থাকবে।
- বিগত দিনে তোমরা যা প্রেরণ করেছিলে, তার প্রতিদানে তোমরা খাও এবং পান কর তৃপ্তি সহকারে।
- যার আমলনামা তার বাম হাতে দেয়া হবে, সে বলবেঃ হায় আমায় যদি আমার আমল নামা না দেয়া হতো।
- আমি যদি না জানতাম আমার হিসাব!
- হায়, আমার মৃত্যুই যদি শেষ হত।
- আমার ধন-সম্পদ আমার কোন উপকারে আসল না।
- আমার ক্ষমতাও বরবাদ হয়ে গেল।
(সুরা আল হাক্কাকাহ আয়াত ১৩ থেকে ২৯)
যেদিন কেউ কারো উপকারে আসবে না, থাকবে না কোন সাহায্যকারি সেই দিনের কথা আজই স্মরন করে তাকাতে হবে সেই দিনের জন্য জমানো পাথেয়র দিকে, সেই দিন আগুন থেকে বাঁচতে আজ কি কি প্রেরণ করেছি । তাই আজ ঘুমানো পূর্বেই আমাদের মনে করতে হবে সেই দিনটির কথা পাশাপাশি মাফ চাইতে হবে পূর্বের কৃত সকল গুনাহের জন্য ।
Tags
Quran