আদর্শ স্ত্রীর যে ছয়টি গুণ থাকবে


আল্লাহ তাআলা বলেনঃ 
যদি নবী তোমাদের সকলকে পরিত্যাগ করেন, তবে সম্ভবতঃ তাঁর পালনকর্তা তাঁকে পরিবর্তে দিবেন তোমাদের চাইতে উত্তম স্ত্রী, যারা হবে আজ্ঞাবহ, ঈমানদার, নামাযী তওবাকারিণী, এবাদতকারিণী, রোযাদার, অকুমারী ও কুমারী। (তাহরীম৫)

এখানে আদর্শ স্ত্রীর ছয়টি গুণ পেশ করা হয়েছে।

()‘মুসলিম’-
মুসলিম শব্দটির অর্থ হচ্ছে কার্যত আল্লাহ্‌র হুকুম ও আইন-বিধান পালন কারী। তারা এমন স্ত্রী হবে যারা আল্লাহ্‌র আদেশ-নিষেধ পালন করতে সর্বদা প্রস্তুত থাকবে।


()‘মুমিন’-মুমিন বলতে এমন লোককে বুঝায় যে অকৃত্রিম নিষ্ঠা সহকারে ঈমান গ্রহণ করেছে। অতএব মুমিন স্ত্রীর বিশেষত্ব হচ্ছে এই যে, সত্য হৃদয়ে আল্লাহ্‌, তাঁর রাসূল এবং তাঁর দ্বীনের প্রতি ঈমান রাখে। আর কার্যত নিজের চরিত্র, অভ্যাস-আদত, আচার-আচরণ ও ব্যবহারে আল্লাহ্‌র দ্বীন অনুসরণ করে চলে।
()‘আনুগত্যশীলা’-এই শব্দের দুটি অর্থ এবং দুটি অর্থই এখানে গ্রহণীয় । প্রথম তারা এমন স্ত্রী হবে যারা আল্লাহ এবং তার রাসূলের অনুগত ও আদেশ পালনকারী হবে। দ্বিতীয়তঃ তারা হবে নিজের স্বামীর অনুগত।
()‘তওবাকারিণী’-তারা এমন স্ত্রী হবে যারা সব সময়ই আল্লাহ্‌র কাছে নিজের গুনাহ্‌ও অপরাধের জন্য ক্ষমাচায়। নিজের দুর্বলতা ও পদস্খলনের অনুভূতি সব সময় দংশন করে এবং সেজন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়। এ ধরনের স্ত্রীর মধ্যে কোন সময়ই অহংকার, গৌরব, অহমিকতা, উন্মাসিকতা ও আত্নম্ভরিতারভাব ধারা জাগতে পারেনা। এমন স্ত্রী স্বভাবতই নম্র প্রকৃতির এবং বিনীত মনোভাবের হয়।
()‘ইবাদতকারিণী’-একজন নারীর সর্বোত্তম হওয়ার ব্যাপারে এইগুণটির প্রভাব খুব বেশি লক্ষ্য করা যায়। এমন স্ত্রী ইবাদত করার কারণে আল্লাহ্‌র নির্ধারিত সীমাসমূহ পুরাপুরি রক্ষা করে চলে। এমন স্ত্রী কখনোই আল্লাহ্‌রই এবাদত করা থেকে মুখ ফিরাবেনা - এ আশা তার প্রতি খুব বেশি করা যায়।


()‘ছিয়ামপালনকারিণী’-ফরয বা নফল ছিয়াম পালন করা পূর্ববর্তী নবী ও সৎলোকদের মধ্যেও প্রচলিতছিল । ছিয়াম পালন করলে প্রবৃত্তি দমন হয়। ছিয়াম পালনে অভ্যস্থস্ত্রীর কাছে সব ধরনের কল্যাণের আশা করা যায়।


এযাবত আদর্শ স্ত্রীর যেসব গুণাবলী পেশ করা হলো, সেগুলি পরিপূর্ণ ভাবে অর্জন করার জন্য সচেষ্ট থাকা প্রত্যেক নারীর অবশ্য কর্তব্য। হেআল্লাহ্‌, তুমি সকলকে তাওফীক দান কর।

Post a Comment

Thank you for your Comment

Previous Post Next Post

Contact Form