৯ টি কবীরা গুনাহ (এর থেকে বিরত থাকতেই হবে)

bangla islamic blog, ialamer alo, hadith, quran, islam, bangl, articale, dua, salat, shariah, islamic song, jihad

হাদিসে বর্ণিত ৯ টি বড় গুনাহ বা কবীরা গুনাহ হলো-

তায়সাল ইবনে মায়্যাস (র) থেকে বর্ণিতঃ

আমি যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত ছিলাম। আমি কিছু পাপকাজ করে বসি যা আমার মতে কবীরা গুনাহর শামিল। আমি তা ইবনে উমার (রাঃ)-এর কাছে উল্লেখ করলে তিনি জিজ্ঞেস করেন, তা কি? আমি বললাম, এই এই ব্যাপার। তিনি বলেন, এগুলো কবীরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত নয়। কবীরা গুনাহ নয়টিঃ
(১) আল্লাহর সাথে শরীক করা,
(২) নরহত্যা,
(৩) জিহাদের ময়দান থেকে পলায়ন,
(৪) সতী-সাধ্বী নারীর বিরুদ্ধে যেনার মিথ্যা অপবাদ রটানো,
(৫) সূদ খাওয়া,
(৬) ইয়াতীমের মাল আত্মসাৎ করা,
(৭) মসজিদে ধর্মদ্রোহী কাজ করা,
(৮) ধর্ম নিয়ে উপহাস করা এবং
(৯) সন্তানের অসদাচরণ যা পিতা-মাতার কান্নার কারণ হয়।
ইবনে উমার (রাঃ) আমাকে বলেন, তুমি কি জাহান্নাম থেকে দূরে থাকতে এবং জান্নাতে প্রবেশ করতে চাও? আমি বললাম, আল্লাহর শপথ! আমি তাই চাই। তিনি বলেন, তোমার পিতা-মাতা কি জীবিত আছেন? আমি বললাম, আমার মা জীবিত আছেন। তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ! তুমি তার সাথে নম্র ভাষায় কথা বললে এবং তার ভরণপোষণ করলে তুমি অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে, যদি কবীরা গুনাহসমূহ থেকে বিরত থাকো (তাবারীর তাফসীর, আবদুর রাযযাক আল-খারাইতীর মাসাবিউল আখলাক)। {আদাবুল মুফরাদ - পিতা মাতার সাথে সদ্বব্যাবহার অধ্যায়}

এ ব্যাপারে আরো কিছু হাদিসঃ 

আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কাবীরাহ গুনাহ (বড় পাপ) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আল্লাহ তা‘আলার সাথে শিরক্ করা, পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া, কোন মানুষকে হত্যা করা এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া। (বুখারী পর্ব ৫২ : /১০ হাঃ ২৬৫৩)


আবদুল্লাহ (বিন মাসঊদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: কিয়ামতের দিন মানুষের (অপরাধের) মধ্যে সর্বপ্রথম নরহত্যার (অপরাধের) বিচার করা হবে। [ইবনে মাজাহ ২৬১৫]


আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “সাতটি সর্বনাশী কর্ম হতে দূরে থাক।” সকলে বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! তা কী কী?’ তিনি বললেন, “আল্লাহর সাথে শির্ক করা, যাদু করা, ন্যায় সঙ্গত অধিকার ছাড়া আল্লাহ যে প্রাণ হত্যা করা হারাম করেছেন তা হত্যা করা, সূদ খাওয়া, এতীমের মাল ভক্ষণ করা, (যুদ্ধক্ষেত্র হতে) যুদ্ধের দিন পলায়ন করা এবং সতী উদাসীনা মুমিনা নারীর চরিত্রে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া।” (বুখারী ২৭৬৬, ৬৮৫৭, মুসলিম ২৭২নং, আবূ দাঊদ, নাসাঈ)





Post a Comment

Thank you for your Comment

Previous Post Next Post

Contact Form